Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ জুলাই ২০২৩

ইতিহাস ও কার্যাবলি

ইতিহাস:

১. বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ পরিচিতি:

বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৬ সালের ০২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়ে আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছ। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে গঠিত প্রাচীন এই এ দপ্তররে রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জাতীয় চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৫৬ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার একটি রেজ্যুলিউশনের মাধ্যমে পরষিদ গঠন কর। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিরসনে সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম, অনুদান কর্মসূচি, স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা, জরিপ, গবেষণা ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাক।ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭২ সালে রেজ্যুলিউশন পরিবর্তনের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ। দেশের উদ্ভূত বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠান নতুন উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এ রেজ্যুলিউশন সংশোধন করা  হয়েছে। ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ খস্টিাব্দে মহান জাতীয় সংসদে ‘‘বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন-২০১৯’’ প্রণয়নের মাধ্যমে সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ পরিচালনা বোর্ডের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮৪ জন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী পরিচালনা বোর্ডের সহসভাপতি। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের নেতৃত্বে পরিষদের সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী কমিটি রয়েছে। পরিষদ পরিচালনা বোর্ড ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সচিব। পরিষদের লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দেশের সকল জেলায় ‘জেলা সমাজকল্যাণ কমিটি’ এবং সকল উপজেলায় ‘উপজেলা সমাজকল্যাণ কমিটি’ রয়েছে। তিনটি পার্বত্য জেলা ব্যতীত জেলা সমাজকল্যাণ কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক ও সদস্য সচিব জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক। রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাসমূহে সমাজকল্যাণ কমটিরি সভাপতি সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। পার্বত্য জেলাসমূহে জেলা সমাজকল্যাণ কমিটির সদস্য সচিব অন্যান্য জেলার ন্যায় জলো সমাজসবো র্কাযালয়রে উপপরিচালক। উপজেলা সমাজকল্যাণ কমিটির  সভাপতি সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। মাঠ পর্যায়ে পরিষদের নিজস্ব কোন কার্যালয় ও জনবল না থাকায় সমাজসেবা অধিদফতরের অধীন জেলা ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করে থাকে

২. পরিষদের মিশন ও ভিশন

(১) মিশন: যত্নশীল, নিরাপদ ও উন্নত সমাজ বিনির্মাণ।

(২) ভিশন: সমাজের পশ্চাৎপদতার ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠির সামাজিক জীবনমান উন্নয়ন ও  সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধন।

৩. পরিষদের কার্যাবলি:   

(ক)   সমাজের সকলের বিশেষত নারী, শিশু, অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত বা কম সুবিধাপ্রাপ্ত, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী,  অসহায়, দুর্বল, অক্ষম, শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা অন্যবিধ কারণে পূর্ণাক্সগ বা আংশিক অক্ষম, দুর্যোগে বিপদাপন্ন বা ক্ষতিগ্রস্ত, নদীভাঙনে ভিটামাটিহীন ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসী, চা-বাগান শ্রমিকসহ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী, নিম্নআয়ের ব্যক্তি, গোষ্ঠী, শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের সার্বিক জীবনমান বা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আর্থিক অনুদান প্রদান করা;

(খ)     সমাজকল্যাণমূলক কার্যে নিয়োজিত বা আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ, অনুদান ও স্বীকৃতি প্রদান করা;

(গ)     সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের সহিত জড়িত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা;

(ঘ)     সামাজিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সমস্যার কারণ এবং প্রতিকারের উপায় নিরূপণে গবেষণা পরিচালনা করা;

(ঙ)     সামাজিক গবেষণার জন্য দেশি-বিদেশি স্বীকৃত ও মানসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা বিশ^বিদ্যালয়ের সহিত চুক্তি সম্পাদন ও গবেষণা পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা;

(চ)    সমাজকল্যাণমূলক বিদেশি, আন্তর্জাতিক, বহুজাতিক, বৈশি^ক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর সহিত যোগাযোগ স্থাপন এবং হালনাগাদ ধারণা, তত্ত তথ্য, কৌশল, কর্মপন্থা ও  উপায় সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ এবং অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে উক্ত কার্যাবলির প্রয়োগযোগ্যতা বিশ্লেষণ এবং ফলাফল নিয়মিতভাবে সরকারকে অবহিত করা;

 ছ)    জাতীয় পর্যায়ে সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা;

(জ)  দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি বা প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন করা;

(ঝ)   সমাজের অসচ্ছল রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, এতদুদ্দেশ্যে রোগীকল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইহার কার্যক্রম তদারকি করা;

(ঞ)  সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে জনসম্পৃক্ততা তৈরির লক্ষ্যে প্রচার, প্রচারণা, সভা, সমিতি, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন করা;

(ট)  পরিষদের কার্যক্রমের বার্ষিক, পঞ্চবার্ষিক ও বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা;

(ঠ)  অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক যে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড গ্রহণ করা; এবং

(ড)  বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন ২০১৯-এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য  কার্যাবলি সম্পাদন করা।